পটুয়াখালীর দুমকির লেবুখালী ফেরীঘাটে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলার কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে নাকাল যাত্রীরা। ফেরীর পাশাপাশি নৌকা-ট্রলারে পাড় হয়ে বরিশাল হয়ে বিভিন্ন গন্তবের কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন হাজারও মানুষ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের পরদিন সকাল থেকেই লোকাল বাস, মিনি ট্রাক, মাইক্রো, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে লেবুখালী ফেরী ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। পরে ফেরিতে ও নৌকা-ট্রলার যোগে পায়রা নদী পাড়ি দিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে বাস, মিনিবাসসহ নানা যানবাহনে কর্মস্থলের পাড়ি জমাচ্ছেন তারা।
ফেরীঘাটের বাসিন্দারা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়। ওপার থেকে ফেরি এসে ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা উঠে পড়ায় গাড়ি লোড-আনলোড হতে দেরি হচ্ছে। এতে লেবুখালী ফেরীঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। আটকে পড়া গাড়ির যাত্রী ও শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও যাত্রীদের চাপে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
বরগুনা থেকে আসা যাত্রী মাহিনূর বেগম জানান, অনেক কষ্ট করে এসেছি। যদি পথে পরিবহন ও নদীতে লঞ্চ চলত, তা হলে এতে কষ্ট হতো না। অনেক টাকা খরচ করে লেবুখালীঘাটে এসে পৌঁছেছি।
রাঙাবালী থেকে আসা আরেক যাত্রী সাহাবুদ্দিন জানান, ঈদের দুদিন পরেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।
লেবুখালী ফেরীঘাটের সাব-ইজারাদার আবদুর রশীদ জানান, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সরাসরি গাড়ী না থাকায় বিভিন্ন মাধ্যমে যাত্রী কর্মস্থলে ফিরছেন। লেবুখালী ফেরীঘাট এসে নদী পার হয়ে ওপার থেকে অন্য বাহনে যেতে যাত্রীদের একটু ভোগান্তি হচ্ছে। তবে নারী যাত্রীদের ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে ফেরীতে বা ট্রলারে ওঠা-নামায় ভোগান্তি হচ্ছে সবচে বেশী।
লেবুখালী ফেরী ঘাটের সুপারভাইজার মো: আফজাল হোসেন জানান, কর্মস্থলমুখী যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। আমরা দু’টি ফেরী সচল রেখে আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: