হজ এজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে এবার একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় শেষ মুহূর্তে সাড়ে পাঁচ হাজার হজযাত্রী সৌদিতে যেতে পারেননি।
সোমবার (১২ জুন) পর্যন্ত মোট ১৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৯টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ৫টি ফ্লাইট।
হজ মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে মদিনাগামী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে ১১টি। হজ এজেন্সিগুলো নির্ধারিত সময়ে টিকিট না কাটা, মদিনাগামী যাত্রী না পাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি আরবের ‘সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। সেখানে চলতি বছরের হজের ফ্লাইট সম্পর্কে জানতে চান প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম জানান, বিমানের যেকটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে সবকটি হজ এজেন্সির গাফিলতির কারণে। তারা টিকিট বুকিং দিয়েও শেষ মুহূর্তে হজযাত্রী দিতে পারেনি। এছাড়াও ৩০ শতাংশ মদিনাগামী যাত্রী দেওয়ার কারণে চলতি বছর নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে। এসব কারণে ২২ জুন শেষ ফ্লাইটের পর আরও অতিরিক্ত ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য হজ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান তিনি। বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী আমলে নেন এবং হজ অনুবিভাগকে এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। একই বক্তব্য দেয় সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান, কোনো অবস্থাতেই হজ ফ্লাইট ২৪ জুনের পর করা যাবে না। এরমধ্যে সব হজযাত্রীকে সৌদিতে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন সংশ্লিষ্টদের।
বৈঠকে বিমান থেকে জানানো হয়, ২৬ মে দুটি, ২৮, ২৯ একটি করে, ৩১ মে দুটি, ৩ জুন দুটি, ৬ জুন দুটি, ৮ জুন একটি, ৯ জুন একটি, ১১ জুন দুটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আরও কয়টি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে জানতে চাওয়া হলে বিমান সঠিক তথ্য দিতে না পারলেও, সামনে আরও ফ্লাইট বাতিল হবে এমনটি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ বা ২৮ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালনে যাচ্ছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: