তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ পরিচালনা ও সহযোগিতার জন্য আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তুরস্ক যাচ্ছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল। ওই দলে যোগ দেওয়ার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ জনকে মনোনীত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
আজ দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মো. মাইন উদ্দিন জানান, তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্প দুর্যোগে উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল রওনা হচ্ছে। তাদের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে কাজী আলাউদ্দিন রোডের ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যারা
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা, টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, যশোরের সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সের উপসহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের ফেনী স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকের হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের লিডার মো. আবুল কালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার সহদেব সাহা, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল স্টেশনের ফায়ারফাইটার আসিফ খান, লালবাগ স্টেশনের ফায়ারফাইটার মো. রুমান রাজন, রংপুর স্টেশনের ফায়ারফাইটার রোকনুজ্জামান, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া স্টেশনের ফায়ারফাইটার কাব্য কুমার ও চট্টগ্রামের নন্দনকানন স্টেশনের ফায়ারফাইটার মো. সুজন আলী।
তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখন পর্যন্ত তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার সদস্য।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প দেশ দুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদের সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ তাদের পাশে আছে।
তুরস্কের এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের নানা দেশ। বিশেষজ্ঞ দল ও নানা সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: