নোয়াখালীর মাইজদীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ী ভাংচুর ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়া ও জেলা আওয়ামীলীগ কার্যলয়ে হামলা চেষ্টার অভিযোগে পৃথক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও পৌর আওয়ামীলীগের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল হাসেম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট আসামী ১০৮৮ জন। এসব মামলায় ২৯ জন কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধাবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির কর্মসূচি অনুযায়ী নোয়াখালী সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্তরে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৭শ নেতা কর্মী রশিদ কলোনী এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেয়। মিছিলটি টাউন হল মোড় পার হয়ে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দিকে আসতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ তাদের বাধা দেন। এসময় বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে এলোপাড়ালি ইট পাটর্কেল ছুড়তে থাকে। ইটের আঘাতে ৮জন পুলিশ আহত হন। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ আট রাউন্ড সট গানের ফাঁকাগুলি করে।
এই ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৩ নেতা কর্মীকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ২৯ জনকে মামলায় আসামী হিসাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকি ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম তিনটি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন পুলিশের ওপর হামলা, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, গাড়ী ভাংচুর ও পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় ২৯জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধাবার বিকালে নোয়াখালী চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মিছিল সহকারে হামলা চেষ্টার অভিযোগে এক আওয়ামীলীগ নেতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: