বাংলাদেশের কাছে জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এ প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে বিপিএমআই আয়োজিত 'বিদ্যুৎ খাতে সাইবার নিরাপত্তা-নীতি এবং অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ' শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'রাশিয়ার পক্ষ থেকে তেল বিক্রির প্রস্তাব এসেছে। বিশেষ করে ক্রুড অয়েলের কথা বলছে তারা। আমরা সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি।'
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর চিন্তা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জ্বালানির দামটা স্থিতিশীল রাখতে চাই। বাড়াতেও চাই না, কমাতেও চাই না। দাম যতটুকু কমেছে (আন্তর্জাতিক বাজারে), তাতে করে এখনই সমন্বয় করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
জনগণের ওপর থেকে জ্বালানি খরচের চাপ কমাতে তরল জ্বালানির পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন চালু করা উচিত বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন বৈদ্যুতিক থ্রি হুইলারগুলো চলছে। এগুলো জনগণকে খরচের ব্যাপারে স্বস্তি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহন চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
রেল বিভাগ চাইলে বৈদ্যুতিক ট্রেনও চালু করতে পারে বলেও জানান তিনি।
কর্মশালায় তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাহ্যিক নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার প্রটোকল দ্রুত করা অপরিহার্য। সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার নিরাপত্তা হুমকির আগাম সতর্কতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা, সেবা সুরক্ষা, তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা এবং সাইবার সাপ্লাই চেইন ঝুঁকি হ্রাস, সাইবার সিকিউরিটিতে গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এছাড়াও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও কাজ করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: