২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে ময়মনসিংহকে বোমা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত করেছিল বিএনপি জামাত সন্ত্রাসী জোট সরকার, সেই ময়মনসিংহকে আজ শিক্ষা নগরী থেকে প্রযুক্তির নগরী তৈরি করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক উপহার দিয়েছেন। আজ থেকে ১৩ বছর আগে প্রযুক্তির কোন কনসেপ্ট আমাদের তরুণদের সামনে ছিল না। ডিজিটাল কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশে তা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড।
বুধবার দুপুরে সাত একর জমিতে ময়মনসিংহ সদরের কিসমত রহমতপুরে ‘হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, খুব দ্রুত এই হাই-টেক পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং দুই বছরের মধ্যে এখানে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। এখান থেকে এক হাজার তরুণ-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। এই তরুণ-তরুণীরা ময়মনসিংহ এর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে। নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণরা আর জব সিকার নয়, জব ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। ডলার আয়ের জন্য এখন আর বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন নাই। এটাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি, কাজেই বাংলাদেশকে শ্রীলংকা-পাকিস্তান বা অন্য কোনো ব্যর্থ রাষ্ট্রের সাথে তুলনার সুযোগ নেই।
এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ সিটি কপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু; জাতীয় সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য বেগম মনিরা সুলতানা ও ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহা.আহমার উজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: