আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাদের রক্ত মশা অনেক বেশি পছন্দ করে। খুঁজে খুঁজে তাদেরই আক্রমণ করে মশারা। কিন্তু তারা কী এমন অপরাধ করেছেন যে বার বার তাদের দিকেই মশার চোখ! মশা কয়েক ধরনের মানুষকে বেশি কামড়ায়। কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে ভিড়ের মধ্যেও তাদের খুঁজে পেতে মশাদের বেগ পেতে হয় না। কাদের এবং কোনো অবস্থায় বেশি মশা কামড়ায়, তা জেনে নেওয়া যাক-
> বেশি শারীরিক পরিশ্রম করলে মশার শিকারে পরিণত হতে পারেন আপনিও! খেয়াল করবেন, কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর মশারা ছেঁকে ধরছে। এর জন্য দায়ী আমাদের শরীরের ল্যাকটিক অ্যাসিড। শারীরিক পরিশ্রমের পর মাংসপেশী থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড নির্গত হয়। এই ল্যাকটিক অ্যাসিডের গন্ধ মশাদের আকর্ষণ করে।
> মশাদের ঘ্রাণ শক্তিও প্রখর। যে ব্যক্তির শরীরে কায়রামোনস রাসায়নিক বেশি থাকে, তাদের রক্ত মশারা বেশি পছন্দ করে।
> গর্ভবতী নারীদের মশা বেশি কামড়ায়। কারণ অন্য নারীদের তুলনায় গর্ভবতীরা ২১ শতাংশ বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়েন। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের দ্বারা মশারা সহজে আকৃষ্ট হয়।
> ‘ও’ গ্রুপের রক্তের স্বাদে মশগুল থাকে মশারা। গবেষণায় জানা গিয়েছে, অন্য গ্রুপের রক্তের তুলনায় ‘ও’ গ্রুপের রক্ত থাকলে সেই ব্যক্তি অন্যান্যদের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি মশার কামড় খায়। আসলে ‘ও’ পজিটিভ এবং ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের একটি বিশেষ গন্ধ রয়েছে। সেই গন্ধ শুকেই ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের ব্যক্তিদের আক্রমণ করে মশারা।
> আবার পোশাকের রঙও মশাদের আকৃষ্ট করতে পারে। গাঢ় রঙের পোশাক, কালো, লাল, নীল রঙ মশাদের বিশেষ পছন্দের। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে হলে হালকা রঙের জামাকাপড় পড়া উচিত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: