প্রতিনিয়ত নানান চাপের মাঝে পার হয় আমাদের দিন। নিত্য কাজের সাথে অনেক সময় শরীরে দেখা দেয় নানা অসুস্থতা। খাদ্যভাসে কি ধরনের খাবার রাখলে সুস্থ থাকা যাবে এসব নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকেই
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, সানফ্লাওয়ার সিড এবং পাম্পকিন সিড রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে। শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করবে এই সব বীজ।
চিয়া সিড
চিয়া সিডে রয়েছে ফাইবারের উপাদান। তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত করে। এ ছাড়াও রয়েছে ফ্যাট ও প্রোটিন এবং কোষকে রক্ষা করার মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। চিয়া সিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদ্যন্ত্রের রোগ থেকেও বাঁচাতে পারে এই বীজ।
ফ্ল্যাক্স সিড
হজমের সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করবে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে এটি হৃদ্রোগের আশঙ্কাও কমাবে। এমনকি, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে এই বীজে। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সহায়তা করে ফ্ল্যাক্স সিড।
ওমেগা-৩ জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস এই বীজ, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায়।
সানফ্লাওয়ার সিড
নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে সূর্যমুখীর বীজে। হৃদ্রোগ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এই বীজ। ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় এটি যে কোনও ধরনের ক্রনিক রোগ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই বীজ।
পাম্পকিন সিড
পাম্পকিন সিড বা কুমড়োর বীজ প্রোটিন, ওমেগা-৬ জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই বীজে রযেছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। ডায়াবিটিসের জটিলতা তো দূর করেই, সেই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এই বীজ। অনিদ্রাজনিত সমস্যা এখন অনেকেরই চিন্তার কারণ। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ এই বীজ খাদ্যতালিকায় রাখলে ঘুমের সমস্যা দূর করবে। মেনোপজের পরে যে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে, তার ঝুঁকিও কমায় কুমড়োর বীজ।
খাবেন কী ভাবে?
১) চিয়া সিডের শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। দইয়ের সঙ্গেও মিশিয়ে দিতে পারেন। স্যালাড বা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়েও এটি খাওয়া যায়।
২) ফ্ল্যাক্স সিড খানিকটা গুঁড়ো করে নিয়ে মিল্ক শেক বা স্মুদির সঙ্গে খেতে পারেন।
৩) সানফ্লাওয়ার সিড স্যালাডের উপরে ছড়িয়ে খেতে পারেন। দইয়ের সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যায়।
৪) স্যালাড বানালে তাতেই দিয়ে দেওয়া যায় পাম্পকিন সিড।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: