পাবনার সাঁথিয়ায় গৃহবধূ তাজরিন খাতুনকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে লাশ বিকৃত করার দায়ে স্বামী আলমগীর হোসেনকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আলমগীর হোসেন সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না পাওয়ায় রাতে আলমগীর তার স্ত্রী তাজরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে তার চেহারা বিকৃত করে দেন।
পরে তাজরিনের সন্তানদের কাছে খবর পেয়ে ভাই সবুজ হোসেন সাঁথিয়া থানায় খবর দেন এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন।
পরদিন, ১৮ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সবুজ হোসেন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় ৮ জন নামীয় আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামি আলমগীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার দুপুরে স্বামী আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায়ের সময় সরকার পক্ষের আইনজীবী শিশু ও নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: