২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ সোমবার (২০ আগস্ট) শুরু হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিন এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
রোববার (২২ আগস্ট) রাতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ তিনদিন মামলার এক থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন। মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে দিয়েই স্বাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে।’
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মামলার ১৫ জন আসামিকেও আদালতে হাজির করা হবে। আসামিরা সবাই এখন কক্সবাজার জেলা কারাগারে আছেন। মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন।’
গত ২৬ জুলাই থেকে পরবর্তী তিনদিন সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলায় তা সম্ভব হয়নি। পরে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। আদালতে হাজির থাকতে ১৫ জন সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সাক্ষীরা হলেন- শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, শামলাপুর এলাকার মো. আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. কামাল হোসেন ও মো. শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মো. আয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রনধীর দেবনাথ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের হাফেজ জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: