রাজধানীর পল্লবী থানায় করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এই মামলায় জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।
গত ২৯ জুলাই রাত ৮টার থেকে গুলশান-২ এলাকায় ৩৬ নম্বর সড়কে তার ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় বাসাটি ঘিরে রাখে র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় র্যাব সদস্যরা। রাত ১০টার দিকে র্যাবের নারী সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তাকে আটকের কথা জানানো হয়। ওই সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করে র্যাব।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন গত ১৭ জানুয়ারি। তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। আবদুল মতিন খসরু মারা গেলে ওই আসনে মনোনয়নের জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন পাননি।
সম্প্রতি ফেসবুকে নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ছবি পোস্ট করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের ব্যানারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়, যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। কথিত এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: