রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া অভিযোগ করেছেন, মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা তিনি পাইনি।
এদিকে গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা থেকে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের এতোদিন পর গণমাধ্যমে মুখ খুললেন মুনিয়ার বোন তানিয়া।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া বলেন, পুলিশের জমা দেওয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমি নারাজি আবেদন করবো এবং বিচারের জন্য সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত লড়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে তারা আমার সঙ্গে যোগযোগ করেননি।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সাধারণ নিবন্ধন শাখার নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা থেকে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে গুলশান থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর আপাতত শুনানি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার পরে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারিত হবে এবং পুলিশের জমা দেওয়া প্রতিবেদন গৃহীত হবে কি না সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
এর আগে ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাটটি থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশ কর্তৃক ওই কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর তার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, গুলশান দুই নম্বর এভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একা থাকতেন কলেজছাত্রী মুনিয়া। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: