যশোরে ৩৫ জন অতিমারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছে।
রোববার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের গবেষক দল এক বিজ্ঞপ্তিতে অমিক্রনে শনাক্তের বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
তাঁদের বয়স ২০ থেকে ৭১ বছরের মধ্যে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের ঠান্ডা, গলাব্যথা, মাংশপেশিতে ব্যথা, হালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোনো গুরুতর উপসর্গ নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪১ জনের নমুনা নেওয়া হয়। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করে ৩৫ জন প্রাথমিকভাবে অমিক্রনে সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছে। বাকিগুলো ডেলটা ধরন বলে শনাক্ত হয়েছে। ১২ জানুয়ারি যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারের তিন ব্যক্তির অমিক্রন শনাক্ত হয়। এ নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৩৮ জনের শরীরে অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে গবেষণাটি হয়। তিনি বলেন, শনাক্তের বিচারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এখনো গুরুতর উপসর্গ নেই। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অমিক্রনকে উদ্বেগের ধরন বলে আখ্যায়িত করেছে।
করোনার অমিক্রন ধরনটির বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অমিক্রন খুব দ্রুত সংক্রমণশীল একটি ধরন। এ কারণে যশোর অঞ্চলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে ৩০ শতাংশের বেশি নমুনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে। আশপাশের জেলা থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে নমুনা পাঠালে সেগুলোও পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) সর্বশেষ তথ্য (২১ জানুয়ারি পর্যন্ত) অনুযায়ী দেশে করোনার অমিক্রন ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৪ জন। তাঁদের মধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে নতুন শনাক্ত ৩৫ জন নেই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: