'দেশের সিনমা হল সব গোডাউন হয়ে যাচ্ছে'

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৬

সংগৃহীত

দেশের সিনমা হল সব গোডাউন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হল মালিক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। এই অবস্থায় যদি দেশে হিন্দি ছবি না চালাতে দেওয়া হয় তাহলে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এই সমিতি। সমিতির নেতারা বলেন, চার বছর আগেও সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ২৪০। এখন নিয়মিত চালু হলের সংখ্যা মাত্র ৪০। সমিতির নেতারা প্রশ্ন রাখেন হল যদি না চলে, যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দেশের সিনেমা চালাবে কোথায়?

আজ শনিবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় তারা এসব কথা বলেন।

এসময় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস 'সাফটা' চুক্তির আওতায় শাহরুখ খানের সদ্য মুক্তি পাওয়া 'পাঠান' বাংলাদেশে মুক্তির ঘোষণা দেন। তবে এখনও তথ্য মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সায় পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সুদীপ্ত কুমার দাস সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, হিন্দি ছবি না চালাতে দিলে এখন আর হল চালু রাখার উপায় দেখছি না। সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করি।

তিনি আরো বলেন, এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমাদের প্রতিনিধিদের সচিবালয় ডেকে বলেছিলেন, পরিচালক ও শিল্পী সমিতির অনাপত্তি থাকলে সরকার বছরে অন্তত ১০টি উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেবে।

'চিত্রনায়ক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে 'সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ'র ব্যানারে প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি জানিয়ে লিখিত প্রস্তাবনা তথ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। সকল বাধা অপসারিত হওয়ার পরও আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ‘না’ সূচক মনোভাবের পরিচায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লায়ন'স প্রেক্ষাগৃহের মালিক মির্জা আব্দুল খালেক দাবি করেন, ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমা টিকিয়ে রাখতে বর্তমানে সিনেমা আমদানির বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ঈদে বড় ছবি আসছে, ভালো ছবি আসছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, একটা ছবিও পুঁজি তুলে আনতে পারবে না। কারণ, পুঁজি তুলে আনার মতো জায়গা নাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিনেমা বানালেও সেই টাকা তুলে আনার মতো জায়গা নাই।

সরকার দাবি মেনে না নিলে কবে নাগাদ হল বন্ধ করা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নর উত্তরে নেতারা আগামী ঈদের আগেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক মো। খুরশিদ আলম, সংস্কৃতি সমাজ কল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক আর এম ইউনুস রুবেলও্ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর