নবাগত চিত্রনায়িকা শাহ হুমায়রা সুবহা ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর সঙ্গীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন সুবহা।
অন্যদিকে, ইলিয়াসও সুবহার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে এক ভিডিও বার্তায় সুবাহর নামে একাধিক অভিযোগ করেন ইলিয়াস। সেখানে তিনি বলেন, এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এরপরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
ইলিয়াসের নামে যে মামলা করা হয়েছে, একইভাবে ২০১৭ সালে মোঃ নোমান সরকার, মোঃ মাহফুজার রহমান লিখন, মোঃ আল ইমরানের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন সুবাহ।
সেই মামলার কপি দেখিয়ে সুবাহর বিবরণী তুলে ধরেন ইলিয়াস। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাকে (সুবাহ) ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক করে তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখা হয় এবং পরে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। সেখানে সাক্ষী হিসেবে সুবাহর স্বামীর নাম লেখা ছিল মো. ইয়াসির আরাফাত।
বিষয়টি নিয়ে ইলিয়াস বলেন, ওই মামলায় সুবাহ নিজেই উল্লেখ করেছেন সে বিবাহিত। কিন্তু সে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছে কাবিননামা দেখাতে, আমি অবশ্যই দেখাবো। এখন দুটি বিষয়- একটি, সুবাহ যদি বলে সে বিবাহিত না, তাহলে সে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার ওই মামলাটি ছিল ভুয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আর যদি বলে বিয়ে করছে, তাহলে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে কুমারী উল্লেখ করে। সেটার জন্য একটা প্রতারণা মামলা হবে।
ইলিয়াস আরও বলেন, সুবাহর ২০১৪ সালে ৬ মাসের কারাভোগ করেছে। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল, সেই রিপোর্টও আসতেছে। ২০১৭ সালে আরেকজনকে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছে। এখানেই প্রমাণ হয় যে, সে এটাকে ব্যবস্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে।
ইলিয়াসের সঙ্গে সুবাহর বিয়ের কাবিন হয় ৭,৭৭,৭৭৭/= (সাত লক্ষ সাতাত্তর হাজার সাতশত সাতাত্তর) টাকা। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় সুবাহ বলেন, আমার দেনমোহর আমি পাই সেটা আমাকে দিয়ে দেবে। এটার জন্য যা যা করার প্রয়েজন আমি সব করবো।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস বলেন, দেনমোহর দুইবার দিয়েছি। আবার দিতাম, টাকাই যেহেতু তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু সেটা দেওয়ার মতো জায়গা সে (সুবাহ) রাখে নাই। আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। তার ধারণা, আমি হয়তো তার কাছে ফিরে যাবো। সে গতকালকেও আমাকে তার কাছে ফেরার জন্য মেসেজ দিয়েছে।
ইলিয়াস আরও বলেন, যে অপরাধী তার বিচার দুদিন আগে বা পরে হবেই। আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি, তাহলে আমার বিচার হোক সেটাই চাইবো। সর্বোপরি বলেতে চাই, আমি নিরপরাধ, আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করা হয়েছে। সেটা আইনিভাবেই একদিন প্রমাণ হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: