অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র রাজীব মোহাম্মদ।
মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানিয়ে পরিদর্শকের কাছে লিভ নেওয়ার অনুমতি চাইলেন রাজীব। এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি দিলে চাপা কান্না শব্দে কথা ভেসে আসে মা আর নেই।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এমন করুণ অবস্থার মুখোমুখি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
রাজীবের সহপাঠী শরীফ মিয়া ফেসবুকে লিখেন, অনলাইন পরীক্ষা চলছিল।প্রায় ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে এমন অবস্থায়, একটা কান্নার শব্দ পেলাম। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি বন্ধু মোহাম্মাদ রাজিব এর চোখে পানি। বলতেছে, ম্যাম, ম্যাম....., ম্যাম, আমি কি লীভ নিতে পারি! আমি একটু যাই! আমার মায়ের একটু সমস্যা হয়েছে। এক মিনিট পর লীভ নেওয়ার অনুমতি পেল সে।
এইতো কিছুক্ষণ আগে শুনলাম তার মা আর ইহজগতে নেই! আল্লাহ উনাকে মাগফিরাত দান করে জান্নাত বাসী করুন।
শারমিন সিমি লিখেন, মৃত্যু কত নিষ্ঠুর! রাজীবের মায়ের মৃত্যুতে পুরো ইংরেজি বিভাগে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: