অনলাইন পরীক্ষার আগেই হল, পরিবহনসহ সব ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্র মৈত্রীর নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা দশটার দিকে ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় দেড় বছর থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান এবং পরিবহন সেবা গ্রহণ করেনি। উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ছাত্র মৈত্রী। পরে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বিষয়টি যৌক্তিক দাবি বলে আখ্যায়িত করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। স্মারকলিপি প্রদানের ৫০ দিন অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
এতে বলা হয়, গত ১৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি সম্পূর্ণ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পূর্বে অনতিবিলম্বে হল, পরিবহন ও সকল প্রকার বিভাগীয় ফি মওকুফের ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে শাখা ছাত্র মৈত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রীর নেতৃবৃন্দ বলেন, মহামারি করোনায় শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষত-বিক্ষত। দেড় বছর হল ও পরিবহন ব্যবহার না করার পরেও ফি আদায় করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অনতিবলম্বে হল, পরিবহন ও সকল প্রকার বিভাগীয় ফি মওকুফ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে আমরা আশা করি। অন্যথায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের পথে ধাবিত হতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উপাচার্য মাহাদোয় জরুরি কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। উপাচার্য স্যারের সাথে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। ক্যম্পাসে ফিরলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: