জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক সাংবাদিককে হেনস্তা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাব পাড়ার সময় ওই সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকে হেনস্তা ও হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম অনুপম মল্লিক আদিত্য। তিনি বাংলাদেশ জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জানা যায়, গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোরতম লকডাউন চললেও সকল নিয়ম তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরুল নিয়াজ ও মেহেদি হাসান মুনসহ কয়েকজন কর্মী প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিভিন্ন অপকর্মেলিপ্ত হয় । শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে।সম্মানের ভয়ে অনেকে প্রতিবাদ না করে চলে যায় । এভাবেই তারা উছৃঙ্খল হয়ে উঠছে দিন দিন । ক্যাম্পাসের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে তারা ক্যাম্পাসে এসে ঝামেলা বাঁধাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় সকল নিয়ম উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ থেকে ডাব পাড়তে যায় । এসময় বাংলাদেশ জার্নালের পত্রিকার সাংবাদিক অনুপম মল্লিক আদিত্য সেখানে গেলে তারা তাকে লাঞ্চিত করে ।
অনুপম মল্লিক আদিত্য বলেন,আমি পেশাদারিত্বের কারণে বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। আমি যখন সাইন্স ফ্যাকাল্টির দিকে এগোচ্ছিলাম পেছনে খেয়াল করলাম রিকশায় ২/৩ জন ছেলে ডাব পারবে বলে আসতেছিলো।এদিকে ডাব গাছের নিচে আরোও ৫/৬ জন ছিলেন। আমি কৌতূহলবশত ডাবগাছের ঐদিকে গেলে ইকোনোমিকস বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মুন আমাকে বলেন আমি কে, কেন আসছি এখানে। আমি আমার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় দিলে জুনিয়র বলে অকথ্য ভাষায় অপমান করে ।সাংবাদিক পরিচয় দিলে বলেন, সাংবাদিক হইছো তো কি হইছে বলে অকথ্যভাষায় গালাগালি করেন । পরে পাশে থেকে একজন চলে যেতে বললে আমি ক্যাম্পাসের গেইট থেকে যখন বের হয়ে যাই ।পরে মেহেদি হাসান মুন আবার গেটে এসে আংগুল তুলে আমাকে হুমকি ধমকি দেয় ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরুল নিয়াজ বলেন, আমরা ডাব পাড়তে গেলে অনুপম সেখানে আসে । জুনিয়র হিসেবে সে আমাদের সন্মান দেয় নি । তাকে আমরা শাষন করেছি । এসময় গালি-গালাজ ও লাঞ্চনার কথা বললে তিনি অস্বীকার করেন ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন,ঘটনাটি শুনেছি ।এখন থেকে লকডাউনে ক্যাম্পাসে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আর সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়ে তিনি বলেন,আমাকে লিখিত দিলে ব্যবস্থা নিবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: