করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দিতে চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১. প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনার টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকাদান কর্মসূচি আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে।
২. ইতোপূর্বে ইউজিসি কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে সরাসরি উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যে দুটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের প্রেক্ষিতে কার্যকর করে বিষয়বস্তুর ওপর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করা হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষাকার্যক্রম আগের ন্যায় চালু হবে।
৪. করোনা মহামারির কারণে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি প্লান প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই রিকভারি প্লান একটি সাধারণ গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রেরণ করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: