অকারনে জবরদস্তি করে ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিস্কারাদেশ দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আইন নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ ক্ষতিপূরন দাবি করা হয়েছে প্রেরিত নোটিশে।
১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্টের তিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মো. রোকনুজ্জামান ও নাইম সরদার এ নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিৎ করেছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের ব্যবধানে ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করে তীব্র সমালোচনায় জড়িয়ে পরে ম্যাজিষ্ট্রেট ইসমাইল রহমানসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, অহেতুক বহিস্কার আদেশ দেয়া পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান, খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুসরাত জাহানকে ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার (আইসিটি শাখা, ফ্রন্ট ডেস্ক (ই-সেবা কেন্দ্র), মিডিয়া সেল, ই-নথি বিষয়ক (ওয়েবপোর্টাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব গনমাধ্যমে বলেন-গত বৃস্পতিবার অকারন ও জোর জবরদস্তি করে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিস্কার আদেশ দেয় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান। পরীক্ষা শুরু ৫ মিনিটের ব্যবধানে বহিস্কার আদেশ দেয়া অমানবিক এবং নিপীড়ন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সহকারী কমিশনার ইসমাইল রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৯ পরীক্ষার্থীর প্রতি চরম অন্যায় করেছে বলে বেশ কয়েকটি গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা প্রতীয়মান হয়েছে। ফলে ওই ৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিতা দেখা দিয়েছে। যে ঘটনায় সারাদেশ ব্যাপী তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নোটিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ আদালতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আইনজীবীরা।
এদিকে উল্লেখিত ঘটনায় নিয়ে একাধিক গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরপর ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহানকে মৌখিকভাবে তলব করেছে জেলা প্রশাসন। আলোচিত এ ঘটনায় গনমাধ্যমে মতামত দেয়ায় নুসরাত জাহানকে শাসানো হয়েছে বলে একটি গোপন সুত্র নিশ্চিৎ করেছেন। তবে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি শিক্ষিকা নুসরাত জাহান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: