টাঙ্গাইলে কথার অবাধ্য হওয়ায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে জখম করা প্রেমিক হৃদয়কে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ অক্টোবর) অভিযুক্ত হৃদয়কে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে আহত স্কুলছাত্রী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে শনিবার রাতে কিশোরীর নানি বাদী হয়ে হৃদয়ের নামে ঘাটাইল থানায় মামলা করেন।
আহত স্কুলছাত্রী জানায়, গত দুবছর আগে বকশিয়া এলাকার টেক্কা মিয়ার ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন তাদের সম্পর্ক চলমান থাকার এক পর্যায়ে দু’মাস আগে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। স্থানীয়ভাবে দুপক্ষ সমঝোতায় পৌঁছায়। সিদ্ধান্ত হয় আগামী দু’বছর পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে দুপক্ষের অভিভাবকই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে সমঝোতা করেন।
স্কুলছাত্রী আরও জানায়, হৃদয় কিছুদিন যেতে না যেতেই তাকে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বলেন এবং তার অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু কিশোরী তার কথায় কর্ণপাত না করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াসহ স্বাধীনভাবেই চলাচল করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হৃদয়। এক পর্যায়ে কথা না শুনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারণে সে হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন হৃদয়। শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ স্কুলছাত্রীর বাসায় গিয়ে হাজির হন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন হৃদয়। পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে হৃদয় সেখান থেকে পালিয়ে যান।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তার মেয়েকে প্রথমে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে ওই স্কুলছাত্রী শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, শনিবার রাতে ওই তরুণের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর নানি নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: