বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার ৩নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহবুব খান এ পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ইশতিয়াককে গ্রেফতার করতে দাউদকান্দি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যতটুকু জানি মামলায় অভিযুক্ত আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু বিদেশে পলাতক। এর পরও পরোয়ানার কপি হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, ইসতিয়াক পলাতক থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, জাল জালিয়াতি করে পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বিক্রিসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোশতাকের বাবা খন্দকার কবির উদ্দিন আহমেদসহ পূর্বপুরুষরা ছিলেন আলেম ও হাক্কানি পীর। খন্দকার কবির উদ্দিনের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। মৃত্যুকালে কবির উদ্দিন অঢেল সম্পত্তি রেখে গেছেন।
পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কবির উদ্দিনের কিছু সম্পত্তি কল্যাণমূলক কাজের জন্য ট্রাস্টের নামে লিখে দেয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারিশানসূত্রে বংশের সব সদস্য বাকি সম্পত্তির মালিক হলেও কবির উদ্দিনের সপ্তম সন্তান মোশতাকের একমাত্র ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মেদ বাবু বংশের সব সদস্যদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে রেখেছেন।
মামলার বাদী খন্দকার জাবির আহাম্মেদ সারোয়ার বলেন, মোশতাকের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আমাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি কানাডায় বসে দশপাড়া এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছেন। ওয়ারিশদের স্বাক্ষর জাল করে বেশকিছু সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এছাড়া আরও কিছু সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। তার নির্দেশে এসব জালিয়াতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মোশতাকের বাড়ির কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: