প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার আজ থেকে শুরু হলো।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। একই সাথে আগামী ২৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন বিচারক।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম এ বিষয়ে বলেন, আজ অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের দিনে রাসেলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী আহসান হাবীব অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে শামীমা আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য হয়েছে।
এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে শামীমা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বিকাশ, নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন। তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও তা বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: