অস্ত্র মামলায় দণ্ডিত শামীমা নূর পাপিয়া ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নারী পুলিশ সদস্যদের বিশ্রামাগার কক্ষে দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা হলেন, ওই আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবদুল হাকিম ও উপপরিদর্শক (এসআই) নৃপেণ কুমার বিশ্বাস।
এর আগে রোববার দুপুরে আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় নৃপেণ কুমার বিশ্বাস ঘটনার সময় হাজতখানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি বলেন, নারী হাজতখানার বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় নারী পুলিশ সদস্যদের বিশ্রামকক্ষের বাথরুমে পাপিয়াকে আনা হয়েছিল। তখন দুজন যুবক পাপিয়ার সঙ্গে কথা বলছিলেন, জানতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরে ওই দুই যুবক সেখান থেকে চলে যান।
পরিদর্শক আবদুল হাকিম বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সে সময় অন্য একটি মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অবস্থান করছিলেন।
২০২০ সালে শুদ্ধি অভিযান চলাকালে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছরই অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এখনো তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার বিচার চলছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযুক্ত পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩–এর বিচারক ছুটিতে থাকায় মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন পিছিয়ে যায়। আগামী ১৬ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন বলেন, কী ঘটেছিল তা তদন্তের পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় কারও দায় থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: