নৌকার বিপক্ষে নয়,নির্বাচন করছি নৌকার মাঝির বিপক্ষে। এই এলাকার আওয়ামীলীগকে বাঁচানোর জন্য আমি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্য সূর্যোগ দিয়েছে জনপ্রিয়তা যাচাই করার। তাই এ আসন থেকে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিতে চাই।আমি বিজয়ী হলে এ আসনে আওয়ামীলীগ হবে সুসংগঠিত । থাকবে না সহিংসতা,থাকবেনা দলের মধ্যে গ্রুপিং। শান্তিতে থাকবে এ আসনের মানুষ।মানুষ নিজেদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে এ আসনে কার জনপ্রিয়তা বেশি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে আমিনপুর থানার নাটিয়াবাড়ি এলাকার অর্ঘ্য কনভেনশন সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৯ পাবনা ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করে এ সব কথা বলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ওই আসনের সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল,সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহাব, সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের রোকন, সুজানগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক কল্লোল, রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম মহন, রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম তৌফিকুল আলম পিযুস, দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ,আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল মিয়া, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা, সাগরকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী, ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দীন, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নাছির উদ্দীন ব্যাপারী, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের পাবনা জেলা সাধারণ স¤পাদক রাশেদুল ইসলাম স্বপন,মাশুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন,ঢালারচর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ স¤পাদক মমিনুর রহমান মমিন, সুজানগর এনএ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের শতাধীক নেতাকর্মী ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের দাবী, বিগত নির্বাচনগুলো থেকে এবারের নির্বাচন হবে ভিন্ন ও প্রতিযোগিতামূলক। ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে বেছে নেবেন যোগ্য প্রার্থী।যোগ্য প্রার্থী পাবেন মুল্যায়ন । পাবনা জেলার সুজানগর ও বেড়া উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত ৬৯ পাবনা ২ আসন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: