গাইবান্ধায় বিআরডিবি উপ-পরিচালক আব্দুর সবুরের বিভিন্ন অপর্কমের সহযোগীতা না করায় হয়রানীর শিকার হয়েছেন ওই অফিসের হিসাবরক্ষক আনিছুর রহমান । আজ সকালে শহরের হর্কাস মার্কেটে সংবাদ সম্মলনে এমন অভিযোগ জনান ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, বিগত ১৯ডিসেম্বর ২০১৩ সালে আমি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ( বিআরডিবি ) গাইবান্ধা জেলা অফিসে যোগদান করি। এবং অফিসের উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের আদেশ মোতাবেক যথাযথ ভাবে দক্ষতা ও সত্যতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ১৮ই মাস ২০১৮ তারিখে উত্ত অফিসে উপপরিচালক হিসেবে আব্দুর সবুর যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকে তিনি গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র দুরীকরন প্রকল্প সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন। আমি হিসাব রক্ষক হিসেবে উক্ত প্রকল্প ও কার্যক্রমের হিসাব সংরক্ষনের দায়িত্ব পালিন করি। এসময় উপপরিচালক আব্দুর সবুর প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নে একক সিধান্তে অর্থ ব্যায় করতে থাকে । এ বিষয়য়ে সরকারী নির্দেশনা মেতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের প্রতিবাদ করলে উপ-পরিচালক মহাদয় আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ও চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার ভয়ভীতি দেখান। আমি নিরুপায় হয়ে উর্দ্ধতন কর্মকতা হওয়ার আমি তাহার সিধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন কাজ ও প্রকল্পের আয় ব্যায়ের হিসাবের নতি পত্র প্রস্তুত করি। এক পর্যায়ে আমাকে ফাসানোর জন্য পরিচালক আমাকে নিয়ে গাইবান্ধা অগ্রীন ব্যাংক শাখায় একটি যৌথ হিসাব খেলেন । সেই হিসেবের বিপরীতে একটি প্রকল্পের ভাউচারের অর্থ নগদায়নের জন্য পরিচালক ব্যাংকের চেক দিয়ে পাঠান চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করলে উক্ত হিসাবে ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংকের চেকটি ডিজওনার করে। পবরর্তীতে আমাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানে হয়। ইতিমধ্যে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকতা হিসবে আমার পদন্নতি হওয়া আমাকে সাঘাটা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকতা হিসেবে যোগদান করি। এবং আমার পরিবর্ততে গাইবান্ধা জেলা অফিসে যোগদানকৃত নুতন হিসাব রক্ষককে গত ২১জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে আমি আমার দাপ্তরিক দায় দাত্বিত তাকে বুঝিয়ে দেই। বুঝিয়ে দেয়ার পরেও উপ-পরিচালক আব্দুর সবুর আমার বিরুদ্ধে অর্থআত্নসাৎের অভিযোগ দিয়ে আমাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। বর্তমানে আমার চাকুরী ক্ষতি সহ আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য উত্থাপন করছে উর্দ্ধধন কতৃপক্ষের নিকট যার ফলে বিগত তিন মাস থেকে বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। এই বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ার আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: