কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

দৈনিক আমার সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এ,জে, সুজন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিস থেকে লাঞ্চিত ও হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়া সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে টাকা লেনদেন, স্টাফ ও সেবা প্রত্যাশির সাথে হাতাহাতির ভিডিও সংগ্রহকালে দৈনিক আমার সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এ,জে সুজনকে বেধড়ক আঘাত করে ও তার মোবাইল ফোন ভেংগে ফেলে পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী আজমল ও আনসার সদস্যরা। 

তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কুষ্টিয়া সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। 

এটিএন বাংলার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি খ.তুহিন আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় দীপ্ত টিভির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার তার বক্তব্যে বলেন পাসপোর্ট অফিসে মানুষ যায় সেবা নিতে কিন্তু সেখানকার পেটুয়া বাহিনী কেন একজন পাসপোর্ট প্রত্যাশিকে কলার ধরে বের করে দেবে, আর সেই ভিডিও ধারন করায় আমার সাংবাদিক কেন লাঞ্চনার শিকার হবে, তিনি বলেন আমরা কিন্তু ঘুমিয়ে যায়নি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে এবং ওই অপরাধী নৈশ প্রহরী ও আনসার সদস্যের ব্যাবস্থা না নিলে আমরা কলমের মাধ্যমে এর কঠোর জবাব দেবো, তিনি আরো বলেন কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসের এডি জাহিদুল হকের দুর্নীতির শেষ নাই, রোহিংগা পাসপোর্ট করানো থেকে শুরু করে এমন কোন দুর্নীতি নাই যে উনি করে না, টাকা দিলে সহজে পাসপোর্ট মেলে, না হলে ঘুরতে হবে মাসের পর মাস এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ জানান, সাংবাদিক এ,জে সুজন তার পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করায় পাসপোর্ট অফিসের গোমড় ফাশ হওয়ার ভয়ে তাকে আঘাত,লাঞ্চনা করার পর তার মোবাইলটি অকেজো করে দেয়, যেনো পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা বাহিনীরদের টাকা লেনদেন ও তাদের মারমুখী ফুটেজগুলো প্রকাশ না পায়।

এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন এর জেলা প্রতিনিধি মিলন উল্লাহ, ভয়েস অব কুষ্টিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক মুন্সি শাহিন, সত্য খবরের সহ সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন রুবেল,আপডেট কুষ্টিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক অর্পণ মাহমুদ। বক্তরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সহ এর সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান। সাথে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসকে ভোগান্তি মুক্ত ও দুর্নীতি মুক্ত দেখতে চান সাংবাদিক মহল।