বরিশাল-বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি সড়কের কাজলাহার বাজার সংলগ্ন নতুন নির্মিত গার্ডার ব্রিজের সংযোগ সড়ক অস্বাভাবিক উচু ও অসমান্তরাল নির্মাণ করায় এটি অনেকটা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া ব্রিজের নির্মাণ কাজও নিন্মমানের হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,২০১৯-২০ অর্থ বছরে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ৪ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ ব্রিজের নির্মাণ কাজ পায় বরিশালের মোসার্স মাহফুজ খান লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
কচ্ছপ গতিতে এগুনো ব্রিজের কাজের মান নিয়ে শুরুতেই এলাকাবাসী আপত্তি তোলে। এ নিয়ে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করা হয়। তিন/চার মাস পূর্বে ব্রিজটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তিন মাস না যেতেই ব্রিজের ওপরের ঢালাই উঠে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া শ্রীহীন ব্রিজটি যে কেউ দেখলেই এটি নতুন নির্মিত নয় বহু পুরনো ব্রিজ বলে মনে করবেন।
সংযোগ সড়ক উঁচু হওয়ায় ব্রিজের একপাশ থেকে অপর পাশের যানবাহন ও পথচারিসহ কিছুই দেখা না যাওয়ায় যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্রিজের সংযোগ সড়ক কমপক্ষে ৮০/১০০ মিটার দূর থেকে ঢাল উঠিয়ে করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক মিটারের মধ্যে করা হয়েছে।
ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তে কাজলাহার বাজার অংশে সংযোগ সড়ক বাঁকা ও মাত্র কয়েক মিটার দূরত্ব নিয়ে করা হয়েছে। ফলে এ ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে। এদিকে ব্রিজের ওপরের ঢালাই উঠে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়া ও অতিরিক্ত উচু সংযোগ সড়কের ফলে জনভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি স্থানীয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ. জলিল ঘরামী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ব্রিজের ওপরের উঠে যাওয়া ঢালাই সংস্কার করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ব্রিজটি নির্মাণকাজের সাব ঠিকাদার সেলিম আহম্মেদ বলেন, কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী সংযোগ সড়কসহ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন,পূর্বে ওই ব্রিজের সংযোগ সড়কের প্রাক্কলন ব্যয় ও দৈর্ঘ্য সীমিত পরিসরে ধরা ছিল। চলতি অর্থবছরে ব্রিজটির সংযোগ সড়ক সংস্কার করে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: